Most Importance Health Tips.কালমেঘ পাতার অসাধারণ উপকারিতা.
Health Tips Green Chiretta:-
কালমেঘ পাতার ঔষধ গুনা-গুন:- কালমেঘ একটি ভেষজ উদ্ভিদ। কালমেঘ বা এন্ড্রোগ্রাফিস,যার উল্লেখ আমরা প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে পেয়ে আসছি। এর নিয়মিত সেবন আমাদের নানা রকম রোগের হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখে। এর ঔষধি গুনের জন্য সংস্কৃতে একে ''সর্ব রোগ নিবারন'' আখ্যা দেওয়া হয়েছে। কালমেঘ পাতার স্বাদ অত্যন্ত্য তিৎকুটে,তাই একে "কিং অফ বিটারনেস " বলা হয়ে থাকে।
কালমেঘ পাতা রক্তকে পরিশুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমানে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।ফলত আমাদের ত্বকের নানারকম সমস্যার ক্ষেএে কালমেঘা পাতা অত্যন্ত্য কার্যকারী। এছাড়া কালমেঘ পাতা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
আলসার প্রতিরোধক হিসেবে কালমেঘ পাতার রস খাওয়া হয়।
কালমেঘ পাতা মানুষের শরীরে হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এছাড়া এর নিয়মিত সেবন আমাদের শারীরিক শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
অনিয়মিত মাসিক এর সমস্য বা এর থেকে হওয়া নানা রকম অবাঞ্চিত সমস্যার ক্ষেত্রে কালমেঘ পাতার রস উপকারী।
সর্প দংশন বা বিছে বা এই ধরনের বিষাক্ত প্রানীর কামড়ের উপশম হিসেবে কালমেঘ পাতার সাথে পুরো গাছ টিকেই ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে কুষ্ঠ রোগ এবং কলেরার চিকিৎসা করতে কালমেঘ পাতা ব্যবহৃত হয়। তবে গর্ভবতী মহিলাদের কালমেঘ পাতার সেবন একেবারেই উচিত নয়।
লিভারের দোষে কালমেঘ পাতার উপকারিতা :- যেকোনো রকম জ্বর বা ক্রনিক ফিভার বা ভাইরাল ফিভার আমাদের শলীরকে খুব দুর্বল করে দেয়, এছাড়া এই সমস্ত রকম জ্বর আমাদের লিভারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কালমেঘ পাতার রস আমাদের এইসব রকম জ্বর এর ফলে হওয়া শরীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। ২৫ গ্রাম করে কালমেঘের রস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেতে হবে ১ মাস। কিছু না হলেও এমনিতেও ১২ মাস ও খাওয়া যায় কালমেঘ এর পাতার রস, এটার ক্ষেত্র ১০-১৫দিন অন্তর অন্তর সকালে খালি পেটে ১টা, 2টো, 3টে, কারে কালমেঘ পাতা চিবিয়ে বা থেতো করে হাফকাপ জলের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
১)ম্যালেরিয়া:- এছাড়া কালমেঘ পাতা ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। ১০ গ্রাম কালমেঘের পাতা ২ কাপ জলে সিদ্ধ করে ১ কাপ হলে নামিয়ে নিতে হবে। এবার ঐ জল সকালে ও সন্ধ্যায় আধকাপ করে খেতে হবে ৭ দিন।
২) শিশুদের কোষ্ঠবদ্ধতা ও কৃমিতে:- ছোট বাচ্ছাদের ডায়রিয়া, বা গ্যাস্, খিদে কমে যাওয়া ইত্যাদি নানা রকম রোগের ক্ষেএে কালমেঘ পাতার রস ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এছিড়া কৃমি হলেও শিশুদের কালমেঘ পাতার রস খাওয়ানো হয়। এর তিৎকুটে স্বাদ কৃমিগুলিকে মেরে ফেলে পেট পরিস্কার করতে সাহায্য করে। ৪/৫টি কালমেঘ পাতার রস মধুসহ প্রতিদিন সকালে খেতে হবে। ১৫ দিন।
৩) জ্বর, সর্দি, কাশি:- কালমেঘ পাতা জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যাথা, গলা বসে যাওয়া, টন্সিলাইটিস
ইত্যাদি ক্ষেত্রে ঔষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।খাবার
নিয়োম কালমেঘ পাতা ভালো করে ধুয়ে হালকা
গরম জলে মিশিয়ে ছাঁকনিতে ছেকে নিতে হবে। এই কালমেঘ পাতার রসযেকোনো রকম ঠান্ডা লাগা জনিত রোগ খুব তাড়াতাড়ি সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। তবে এর স্বাদ অতন্ত্য তিৎকুতে, তাই এর রস খাওয়ার সাথে সাথে এক চামচ মধু খেয়ে নিলে ভালো।
৪) ক্যান্সার:- কালমেঘ ক্যান্সর নিরাময় এর ক্ষেত্রেও অত্যন্ত উপকারী। এর ঔষধি গুন আমাদের শরীরে ক্যান্সার এর কোষগুলিকে সক্রিয় হতে দেয় না এটি ক্যান্সার রোগীর ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
৫) লিভার:- লিভার জনিত যে কোনো রকম সমস্যার অব্যর্থ ওষুধ এই কালমেঘ পাতা। এটি লিভার টনিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অতিরিক্ত মদ্য পান, বা অতিরিক্ত কড়া ওষুধ দীর্ঘদিন সেবন করলে আমাদের লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কালমেঘ পাতা এর নিরাময়ক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া আজকাল আমাদের খাদ্যাভাস বা ফল ও সবজিতে ব্যবহৃত পেস্টিসাইড আমাদের লিভারকে খারাপ করে দেয়। কালমেঘর পাতার রস নিয়মিত সেবন এই সমস্যার সবথেকে ভালো
সমাধান।
Comments